মোঃইমরান হোসেন | স্টাফ রিপোর্টারঃ সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রীমঙ্গলের ৫ শতাধিক নিন্মবিত্ত, দরিদ্র, অসহায় মানুষ ও নৈশপ্রহরীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সমাজসেবায় অনন্য অবদানের জন্য ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস কর্তৃক সম্মাননা পদক এবং ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক আরিফুল ইসলাম জিয়া।

আজ বিকেলে শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট রোডস্থ মহসীন প্লাজায় ৫ শতাধিক দরিদ্র, অসহায় মানুষ এবং শহরের বিভিন্ন বিপনীবিতান, মার্কেট, এটিএম বুথে কর্মরত নৈশপ্রহরীদের হাতে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি ও অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (অপারেসন্স) নয়ন কারকুন, শ্রীমঙ্গল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাকারিয়া, বাংলা টিভি’র প্রতিনিধি বিক্রমজিত বর্ধন, দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম রুম্মান, দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি এহসান বিন মুজাহির, সমাজকর্মী রুহুল আমিন তালুকদার, গোলাম রহমান ভুট্টু প্রমুখ।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জিয়া গত প্রায় ১০ বছর যাবত রাজধানী ঢাকা, তাঁর পিতৃভূমি ব্রাহ্মলবাড়িয়া এবং শ্রীমঙ্গলে প্রতি বছর শীতকালে নিন্মবিত্ত, দরিদ্র, অসহায় মানুষ ও নৈশপ্রহরীদের মাঝে শীতবস্ত্র, প্রতি বছর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় ঈদবস্ত্র বিতরণ করে আসছেন। সামাজিক এসব কর্মকান্ডের জন্য তিনি একাধিকবার সম্মাননা স্মারকে ভূষিত হয়েছেন।

চলতি বছরে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস কর্তৃক সম্মাননা পদক তাঁর হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসে তাঁর হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন বিচারপতি শিকদার মকবুল হক।

আলাপকালে আরিফুল ইসলাম জিয়া বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। একজন মানুষি হিসেবে আরেকজন মানুষের কল্যাণে এগেিয় আসা আমি ফরজ কাজ বলে মনে করি। গত এক বছর যাবত নানা সময়ে লকডাউনে কর্মহীন মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবনসহ নানা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছি।

সমাজের এসব কাজ করে চরম তৃপ্তি পাই। এবারের ঈদে আমি ধারাবাহিক কর্মের অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গলের পাঁচ শতাধিক নিন্মবিত্ত, দরিদ্র, অসহায় মানুষ ও নৈশপ্রহরীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

যতদিন সুস্থ্যভাবে বেঁচে আছি ততোদিনই নিজের সামর্থের আলোকে এ ধরণের কাজ করে যেতে আমি বদ্যপরিকর। আমি সকলের কাছে দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি।’